বরকল ইউনিয়নের ইতিহাস: রাঙ্গামাটি জেলার দশটি থানার মধ্যে প্রাচীনতম থানা/উপজেলা বরকল। বৃটিশ শাসনামলে ১৯২৩ সালে এটি কর্ণফুলী নদীর তীরে গড়ে ওঠে। বাংলাদেশের সবচেয়ে খরস্রোতা নদী কর্ণফুলীর পাড়ে বিস্তৃত ছোট বড় পাহাড়, ঝর্ণা ও ছোট নদী নালায় ঘেরা এই বরকল থানা/ উপজেলা। বরকল নামকরণের পেছনে জনশ্রুতি আছে যে, কর্ণফুলী নদীর এই স্থানে একটি খুবই বড় প্রবাহমান ঝর্ণা ছিল। পানি পড়ার শব্দ অনেক দূর হতে শোনা যেত। আর এই পানি পড়ার শব্দ শুনে মনে হত কোন বড় যন্ত্র বা কলের শব্দ হচ্ছে। যার ফলে এই স্থানে বসবাসকারী পাহাড়ী লোকেরা এই স্থানের নাম দেয় বরকল। এবংবরকল উপজেলার দ্বিতীয় ইউনিয়ন হচ্ছে বরকল সদর ইউনিয়ন। ১৯65 খ্রিঃ সালে বরকল সদর ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হয় ইহা বরকল উপজেলা পরিষদ অফিস হতে আধ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এর আয়তন প্রায় ৪৩.৯৯ বর্গমাইল। উত্তরে- লংগদু উপজেলার ভাসাইন্যাদম ইউনিয়ন, দক্ষিণে- সুবলং ইউনিয়ন, পূর্ব- ভূষণছড়া ইউনিয়ন, পশ্চিমে- সুবলং ইউনিয়ন। বর্তমানে সদর ইউনিয়নের লোক সংখ্যা- ৯,০০০ (প্রায়)। এখানে বাংগালী, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, আধিবাসীর বসবাস । এখানে জুম চাষ করে মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে । রাঙ্গামাটি জেলা সদর হতে বরকল উপজেলার সদর ইউনিয়নে কোন সড়ক যোগাযোগ নেই। কাপ্তাই বাঁধ প্রতিষ্ঠার পূর্বে কর্ণফুলী নদীর আকাবাকা পথ পেরিয়ে নদী পথই ছিল একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম। কাপ্তাই বাঁধ তৈরীর ফলে জল পথের এই যোগাযোগ আরো সুগম হয়েছে। স্থানীয় জনগণ লঞ্চ, ইঞ্জিন চালিত বোট ও নৌকায় চলাচল করে।এছাড়া বরকল উপজেলায় এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎসরবরাহ না থাকায় স্থানীয় ভাবে জেনারেটর ও সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস